জাপানে ন্যাটোর ‘মৈত্রী কার্যালয়ের’ পরিকল্পনাকে ভালো দৃষ্টিতে দেখছে না এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো। বুধবার (২৪ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং। জাপান ন্যাটোর এ পরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়ার পরপরই এমন মন্তব্য করলো চীন।
মাও নিং বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো সামরিক কিংবা গোষ্ঠীগত সংঘাত সমর্থন করে না।’
জানুয়ারিতে ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ জাপান সফর করেন। সফরে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে ‘ঐতিহাসিক’ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “জাপানের ‘আগ্রাসনের ইতিহাস’ বিবেচনা করে ‘সামরিক নিরাপত্তার’ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া উচিত।”
এর আগে কিশিদা বলেছিলেন, মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে দেশটির অংশগ্রহণের কোনও পরিকল্পনা নেই। এমনকি এশিয়ায় জোটটির প্রথম মৈত্রী কার্যালয় জাপানে স্থাপনের পরিকল্পনা জানানোর পরও একই সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।
ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়াতে জাপানে ‘মৈত্রী কার্যালয়’ চালুর পরিকল্পনা করছে ন্যাটো। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এশিয়ায় প্রথমবারের মতো ন্যাটোর কার্যালয় স্থাপিত হবে।