বিটিসিএল’র (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড) ফাইভ-জি রেডিনেস প্রকল্পের জন্য ‘অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের উন্নয়ন’ শিরোনামে একটি টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। সেখানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি হলো এই প্রকল্পের দরপত্রের মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দিতে অহেতুক দেরি করা হচ্ছে।
এর আগে সরকারের এমওটিএন (মডার্নাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেক্টিভিটি) ফেজ-১ এবং এমওটিএন ফেজ-২ উভয় প্রকল্পের কাজ গত ৭ বছর ধরে বিটিসিএল’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী জেডটিই’কে দিয়ে আসছেন। এবার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ৬ সপ্তাহ আগে তার কাছে কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি প্রতিবেদনটি অনুমোদন করতে অহেতুক দেরি করছেন।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, মূল্য বেশি ধরায় তার পছন্দের কোম্পানি জেডটিই দরপত্র হারাতে চলেছে। ফলে তিনি মূল্যায়ন প্রতিবেদন পরিবর্তন করে প্রকল্পটি আবারও জেডটিইকে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের চাপ দিচ্ছেন।
টেলিকম খাত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দরপত্র পুনরায় ইস্যু করা হলে এক থেকে দুই বছর সময় নষ্ট হবে। এতে জাতীয় নেটওয়ার্ক নির্মাণ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে।
এই প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে বিটিসিএল’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোনে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। এর আগে প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করে বক্তব্য দিতে চাইলেও দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে তিনি দেখা করেননি।