গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি বাংলাদেশের জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটা দেশের জন্য অবমাননাকর। আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেবার ঘোষণা বাংলাদেশ ও তার জনগণের জন্য চরম অবমাননাকর। গণতন্ত্র মঞ্চ মনে করে, উদ্ভুত এই পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব বর্তমান সরকারের।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এ সব কথা বলা হয়। মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন— নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সহসভাপতি সিরাজ মিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক পরিষদের সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া।
সভায় বলা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গোটা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস, রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর দমন নিপীড়ন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ সভা, সমাবেশ মিছিলে হামলা আক্রমণ, হয়রানিমূলক মামলা, গ্রেফতার, গণমাধ্যমসহ নাগরিকদের কণ্ঠরোধ এবং সর্বোপরি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথ রুদ্ধ করে রাখায়— এ রকম অপমানজনক নজিরবিহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ও বিরোধী দল গত প্রায় দেড় দশক, বিশেষ করে ২০১৪ সালের পর থেকে চরম স্বৈরতান্ত্রিক শাসনে যে অবরুদ্ধ পরিস্থিতির মুখোমুখি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন সেসব নিয়ে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করছে।
মঞ্চের প্রস্তাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা, জাতীয় সংসদ বাতিল এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।