দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট স্মার্ট করতে গবেষণা, উদ্ভাবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতসহ র্যাংকিংয়ের যাবতীয় সূচকের নিয়মিত তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এসব তথ্য নিজস্ব বার্ষিক প্রতিবেদনে যুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি।
বুধবার (২৪ মে) ‘বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা’ বিষয়ে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় এ আহ্বান জানানো হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট পর্যালোচনা ও বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র্যাকিং করে থাকে। এজন্য বার্ষিক প্রতিবেদন তথ্যসমৃদ্ধ ও নিয়মিত হালনাগাদ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট স্মার্ট করা জরুরি।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা ও স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে ইউজিসি কাজ করছে বলেও জানান অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
নির্ভুলভাবে বর্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউজিসি’র বার্ষিক প্রতিবেদন জাতীয় সংসদ, রাষ্ট্রপতি, সরকার ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায় পাঠানো হয়। এজন্য, বার্ষিক প্রতিবেদন যথাসময়ে ও নির্ভুলভাবে প্রকাশ করা প্রয়োজন। এ কাজে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক হতে হবে।’
ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় দেশের ৫৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বার্ষিক প্রতিবেদন ও ফোকাল পয়েন্ট প্রণয়নকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন— ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
ড. ফেরদৌস জামান তার বক্তব্যে বলেন, ‘দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাপে পড়েছিল। দেশে এখন দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি বিদেশি বিশ্ববদ্যিালয়ের শাখা ক্যাম্পাস স্থাপিত হয়েছে। আরও বেশকিছু বিদেশি বিশ্ববদ্যিালয়ের শাখা ক্যাম্পাস সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার গুণগতমান ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।’
ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বার্ষিক প্রতিবেদন ও তথ্য ছক পূরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও বিশ্বনাথ বিশ্বাস।