জাল সনদে নিয়োগ হওয়ায় মাদারীপুরের তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বেতনের টাকাসহ সরকারি সব সুবিধা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের প্রধানকে মামলা করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া সনদে এমপিওভুক্ত হওয়া ওই শিক্ষক বেতন বাবদ সরকারি তহবিল থেকে ২০ লাখ ২২ হাজার ২৭৫ টাকা নিয়েছেন।
এর মধ্যে মাদারীপুর বাঘরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মন্ডল সমীর কুমার পাঁচ লাখ এক হাজার ৭৯৫, শিবচরের নারিকেলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষার সহকারী শিক্ষক তরিকুজ্জামান সাত লাখ ৮৮ হাজার ৬৯০ ও কালকিনি ক্রোকিরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার সহকারী শিক্ষক তাপতী বিশ্বাস সাত লাখ ৩১ হাজার ৭৯০ টাকা তুলেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তরিকুজ্জামান নোটিশের পর থেকে পাঠদান বন্ধ রেখেছেন, তাপতী বিশ্বাস নোটিশ পাওয়ার কয়েক বছর আগেই মারা গেছেন ও মন্ডল সমীর কুমারকে তার স্কুলে গিয়ে ও তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরকে (মাউশি)। চিঠিতে ওই তাদের বিরুদ্ধে সাত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- অবৈধভাবে গ্রহণ করা বেতন সরকারি কোষাগারে জমা, যারা অবসরে গেছেন তাদের অবসর সুবিধা বাতিল, স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের আপত্তির টাকা প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের মাধ্যমে আদায়, জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের (ডিআইএ) যাচাই-বাছাইয়ে এসব জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারী চিহ্নিত করা হয়। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাবিবউল্লাহ চৌধুরী বলেন, মাদারীপুরে জাল সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সব ব্যবস্থা করবে। আমাদের কোনও কিছু নেই, মন্ত্রণালয় যদি আদেশ দেয় সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।