২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুতুলনাচের ইতিকথা পড়ছি, লিখছি উপন্যাস ।। ইমদাদুল হক মিলন

ইমদাদুল হক মিলন (জন্ম : ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫) বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার। তিনি গল্প, উপন্যাস এবং নাটক এই তিন শাখাতেই সমান জনপ্রিয়। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২ শতাধিক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।


প্রশ্ন : বইমেলার পরে কী লিখছেন?
উত্তর : বইমেলার পরে আমি একটি বড় উপন্যাস লেখা শুরু করেছি। দুটি পর্ব লেখা শেষ হয়েছে।

প্রশ্ন : এই উপন্যাসটির বিষয় সম্পর্কে জানতে চাই।
উত্তর : একটি গ্রামের পটভূমিতে উপন্যাসটি রচিত। ম্যাজিক রিয়ালিজম আছে। ১৯৬৫ সালে গ্রামের এক হিন্দু চিকিৎসক খুন হন, এই খুনের রহস্য বোঝা যায় না, কারণ এক বছর পরই মানুষটা ফিরে আসেন। এমন একটি ঘটনা নিয়ে লেখা উপন্যাসটি।

প্রশ্ন : এই নতুন উপন্যাসটি কবে প্রকাশ করতে চাচ্ছেন?
উত্তর : এখনো লেখার প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। তাই কবে প্রকাশিত হবে ঠিক বলতে পারছি না। তবে ধারণা করছি লিখতে এ বছর লেগে যাবে। 

প্রশ্ন : কোন প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করবেন বলে ভাবছেন?
উত্তর : এটা কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স থেকে বের হবে।    

প্রশ্ন : আপনি এখন কোন বই পড়ছেন বা পড়ার কথা ভাবছেন?
উত্তর : আমি সবসময়ই পড়ালেখার মধ্যে থাকি। আবার নতুন করে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই পড়ছি। এখন ‘পুতলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাসটি পড়ছি। আমি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন নিয়ে একটি উপন্যাস লিখতে চাচ্ছি অনেকদিন ধরেই।

প্রশ্ন : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনী নিয়ে উপন্যাস লেখার আগ্রহ তৈরি হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : আমি তার ঠিক জীবনী নিয়ে নয়, তার জীবনকেন্দ্রিক উপন্যাস নিয়ে লিখতে চাচ্ছি। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়  এবং আমি উভয়ই একই এলাকার মানুষ। তার ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ বিক্রমপুরের গাউদিয়া গ্রামের পটভূমিতে লেখা। সে কারণে তার প্রতি আমার আলাদা একটি আকর্ষণ কাজ করে।

প্রশ্ন : তরুণদের সাহিত্যকর্ম নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
উত্তর : আমাদের এখানে বেশ কয়জন তরুণ খুব ভালো লিখছেন। আবার লক্ষ্য করেছি বইমেলায় এতো বই প্রকাশিত হয়, অনেকেই প্রকাশ করছেন নিজের পয়সা খরচ করে, এতে মানহীন বইয়ের সংখ্যা ক্রমাগতই বাড়ছে।

প্রশ্ন : মানহীন বই এবং এর লেখকদের নিয়ে আপনার কিছু কি বলার আছে?
উত্তর : অবশ্যই বলার আছে। আমি সবসময়ই বলেছি, বইমেলার সময়ও বলেছি। আমি মনে করি, প্রত্যেক প্রকাশকেরই সম্পাদনা পরিষদ থাকা দরকার। যেনো কোনো পাণ্ডুলিপি আসলে সেটা বিচার-বিবেচনা করে প্রকাশ করা হয়। এমন হলে এই মানহীন লেখার প্রবণতা কমে যাবে।

সম্পর্কিত

Scroll to Top