বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আমরা এখনও কোনও হরতাল বা সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করিনি। ১০ দফা বাস্তবায়নে মিছিল করে যাচ্ছি। এই ১০ দফা শিগগিরই এক দফায় পরিণত হবে।
বুধবার (২৪ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘জাতীয় নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা কেন?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে কেন রাখা হয়েছে? তার নেতৃত্বে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেটার কার্যকারিতা কমাতেই তাকে কারারুদ্ধ রাখা হয়েছে।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনও বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে রাজি না। কিন্তু সেই সংবিধান কি অক্ষত রয়েছে? পরিবর্তিত সংবিধানে নির্বাচন বা আলোচনা কোনোটাই হবে না। যেখানে দিনের ভোট রাতে হয়, ব্যালটবিহীন নির্বাচন হয়, সেখানে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। যতোক্ষণ পর্যন্ত ‘‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’’ পরিস্থিতি তৈরি না হচ্ছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরা নির্বাচন করতে দেবো না।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়, অথচ তারা তৃণমূল ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ১৮ সালের নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি, এবারও পারবে না। এই সরকারকে উৎখাতে প্রয়োজন নির্দলীয় সরকার। আমরা চাই, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এই নির্বাচন কমিশন বা সরকার নয়– নতুন একটি ব্যবস্থা তৈরি করে নির্বাচন করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কেয়ারটেকার সরকার চায় না। অথচ তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মানুষ এখন বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলো জাতীয় ঐক্যমতের প্রতীক। স্বৈরাচারকে কেউ গ্রহণ করেনি। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ যা করেছে তার সবই অবৈধ। এখন নতুন নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।’
ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় আরও ছিলেন– ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলবুল, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন প্রমুখ।